আজকাল যে ছেলেরা লুঙ্গি পরে ঘুমালে রাতে লুঙ্গিটার ঠিক থাকে না। উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম ছাড়া যে আরো ছয়টা দিক আছে সেগুলো তারা জানে না, অথচ তারাও আজ হাটু গেঁড়ে বসে হাতে গোলাপ নিয়ে ফিল্মি ষ্টাইলে প্রেম নিবেদন করে। যে কচি মেয়েটার এখনো পিরিয়ড(sorry for that) শুরু হয়নি, শুরু হলেও যে মেয়েটার এই বয়সে পিরিয়ডের ব্লাড দেখে ভয়ে চিৎকার করে উঠার কথা! এখনো পায়জামার ফিতাটা ঠিক মতো বাঁধতে পারে না, সেই মেয়েটা আজ তারই বয়েসি একটা ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরছে আর প্রকাশ্যে চুমু খাচ্ছে। ভাবতে পারেন দেশ কতোটা এগিয়েছে! ক্লাশের বইগুলোতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যৌনতা। 'বয়ঃসন্ধি' কালের পাঠ দিতে গিয়ে তাদের কচি মাথায় ঢুকানো হচ্ছে এসব। ছেলে-মেয়েরা ক্লাশরুমে এগুলো একসাথে বসে পড়ছে।পড়ে পড়ে একে-অন্যের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হাসছে, তাদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এই এই ব্যাপার গুলা তোমার সাথে ঘটলে বুঝবা তোমার এখন বয়ঃসন্ধি চলছে, এসময় লজ্জা পাইবা না।বন্ধু-বান্ধবির সাথে শেয়ার করবা। হ্যাঁ, তারা এখন বয়ঃসন্ধি আসার আগেই সব সেরে ফেলছে। এরাই সেই প্রজন্ম, যারা অপারেশান সার্চ লাইট কি জানেনা! জানেনা স্বাধীনতা দিবস কবে, জানেনা ভাষা দিবস কবে ! জানেনা ভাষা শহীদদের নাম, জানেনা মুক্তি যুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার দের নাম। জানেনা জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতার নাম কি! জানেনা রণসঙ্গীতের রচয়িতার নাম কি! এরা জানেনা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা ফজলুল হক, মওলানা ভাষানীর নাম । এরা জানেনা ক্ষুদিরাম, তিতুমীরের নাম। এরা জানেনা খাদিজা,আয়েশা, ফাতিমার নাম। কিন্তু এদের মোবাইলের ব্রাউজিং হিষ্ট্রি চেক করে দেখুন, দুনিয়ার সব পর্ণ সাইটে এদের বিচরন, এই যে ছেলে-মেয়েগুলো এতো আধুনিক হয়ে উঠছে, এর আল্টিমেইট রেজাল্ট কি জানেন? -প্রেম করবে। লিভ টুগেদার করবে, মেয়েগুলার মধ্যেই যখন একসিডেণ্টলি তাদের বয়ফ্রেন্ডের ফসল চলে আসবে তখন তারা বিয়ের জন্য বয়ফ্রেন্ডকে প্রেশার দিবে। আজকে যে ছেলেগুলা হাটু গেঁড়ে ফিল্মি ষ্টাইলে প্রপোজ করে রোমিও সাজছে,সেদিন তারা তাদের প্রেগন্যান্ট গার্লফ্রেন্ডকে ক্যারিয়ারের এক্সকিউজ, বাবা-মা'র এক্সকিউজ, সমাজের এক্সকিউজ দেখিয়ে বিয়ে করতে পারবেনা বলে জানাবে। আমাদের প্রগতিশীল সমাজও মেয়েটাকে আর নেবেনা। তারাও তখন তাকে বলবে "পতিতা""বদচলন""নোংরা" "কুলটা-কলংকিনী" আরো কতো কি! মেয়েটা একটা সুইসাইড নোট লিখবে, এরপর বিষ খেয়ে কিংবা ফ্যানের সাথে ঝুলে দায়মুক্তি করে যাবে। -ব্যাস সব শেষ! না, কিছুই শেষ হয়না। প্রতিদিন ঘটতে থাকবে এমন নতুন কিছু। নিজেকে বদলান, নিজের স্বভাব চরিত্র পাল্টান।নিজের বিবেক কে সচেতন করুন। সমাজটা পাল্টে যাবে, বেঁচে থাকুন নিজের জন্য হলেও, ভালবাসুন নিজেকে।

আজকাল যে ছেলেরা লুঙ্গি পরে ঘুমালে রাতে লুঙ্গিটার ঠিক থাকে না।
উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম ছাড়া যে আরো ছয়টা দিক আছে সেগুলো তারা জানে না, অথচ তারাও আজ হাটু গেঁড়ে বসে হাতে গোলাপ নিয়ে ফিল্মি ষ্টাইলে প্রেম নিবেদন করে।

যে কচি মেয়েটার এখনো পিরিয়ড(sorry for that) শুরু হয়নি, শুরু হলেও যে মেয়েটার এই বয়সে পিরিয়ডের ব্লাড দেখে ভয়ে চিৎকার করে উঠার কথা! এখনো পায়জামার ফিতাটা ঠিক মতো বাঁধতে পারে না, সেই মেয়েটা আজ তারই বয়েসি একটা ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরছে আর প্রকাশ্যে চুমু খাচ্ছে।

ভাবতে পারেন দেশ কতোটা এগিয়েছে!
ক্লাশের বইগুলোতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যৌনতা। 'বয়ঃসন্ধি' কালের পাঠ দিতে গিয়ে তাদের কচি মাথায় ঢুকানো হচ্ছে এসব। ছেলে-মেয়েরা ক্লাশরুমে এগুলো একসাথে বসে পড়ছে।পড়ে পড়ে একে-অন্যের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হাসছে, তাদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এই এই ব্যাপার গুলা তোমার সাথে ঘটলে বুঝবা তোমার এখন বয়ঃসন্ধি চলছে, এসময় লজ্জা পাইবা না।বন্ধু-বান্ধবির সাথে শেয়ার করবা। হ্যাঁ, তারা এখন বয়ঃসন্ধি আসার আগেই সব সেরে ফেলছে।

এরাই সেই প্রজন্ম, যারা অপারেশান সার্চ লাইট কি জানেনা! জানেনা স্বাধীনতা দিবস কবে, জানেনা ভাষা দিবস কবে !
জানেনা ভাষা শহীদদের নাম,
জানেনা মুক্তি যুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার দের নাম।
জানেনা জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতার নাম কি!
জানেনা রণসঙ্গীতের রচয়িতার নাম কি!
এরা জানেনা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা ফজলুল হক, মওলানা ভাষানীর নাম ।
এরা জানেনা ক্ষুদিরাম, তিতুমীরের নাম।
এরা জানেনা খাদিজা,আয়েশা, ফাতিমার নাম।

কিন্তু এদের মোবাইলের ব্রাউজিং হিষ্ট্রি চেক করে দেখুন, দুনিয়ার সব পর্ণ সাইটে এদের বিচরন, এই যে ছেলে-মেয়েগুলো এতো আধুনিক হয়ে উঠছে, এর আল্টিমেইট রেজাল্ট কি জানেন?
-প্রেম করবে। লিভ টুগেদার করবে, মেয়েগুলার মধ্যেই যখন একসিডেণ্টলি তাদের বয়ফ্রেন্ডের ফসল চলে আসবে তখন তারা বিয়ের জন্য বয়ফ্রেন্ডকে প্রেশার দিবে।

আজকে যে ছেলেগুলা হাটু গেঁড়ে ফিল্মি ষ্টাইলে প্রপোজ করে রোমিও সাজছে,সেদিন তারা তাদের প্রেগন্যান্ট গার্লফ্রেন্ডকে ক্যারিয়ারের এক্সকিউজ, বাবা-মা'র এক্সকিউজ, সমাজের এক্সকিউজ দেখিয়ে বিয়ে করতে পারবেনা বলে জানাবে। আমাদের প্রগতিশীল সমাজও মেয়েটাকে আর নেবেনা।
তারাও তখন তাকে বলবে "পতিতা""বদচলন""নোংরা" "কুলটা-কলংকিনী" আরো কতো কি!

মেয়েটা একটা সুইসাইড নোট লিখবে, এরপর বিষ খেয়ে কিংবা ফ্যানের সাথে ঝুলে দায়মুক্তি করে যাবে।
-ব্যাস সব শেষ!
না, কিছুই শেষ হয়না। প্রতিদিন ঘটতে থাকবে এমন নতুন কিছু।
নিজেকে বদলান, নিজের স্বভাব চরিত্র পাল্টান।নিজের বিবেক কে সচেতন করুন।
সমাজটা পাল্টে যাবে,
বেঁচে থাকুন নিজের জন্য হলেও, ভালবাসুন নিজেকে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাক্ষসী। পর্ব-১

প্রথম প্রেমপত্র

বুঝতে পারা