কাক আমার প্রিয় পাখি
একটা কাক কেনার জন্য সেদিন গিয়েছিলান লাল বাজারের পাখির দোকানে। অনেক খুঁজেও কাক পেলাম না কেনার জন্য। অথচ মাথার উপরের গাছটাতেই পাঁচ জন কাক চুপচাপ শান্ত হয়ে বসে আছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রতিবেশী গাছটি থেকেই শোনা যাচ্ছে কোকিলের ডাক।
কোকিলের ডাকাডাকিকে অনেকে গান ভেবে ভুল করেন। একটু ভালো করে লক্ষ করলেই দেখবেন, এটি আসলে গান নয়, আর্তনাদ। কোকিলের ডাককে কখনো আমার কাছে সুরেলা গান বলে মনে হয়নি, মনে হয়েছে কালো রঙের এই পাখিটি যেন প্রচন্ড অস্থিরতা নিয়ে চীতকার করে চলেছে, কিছু একটা বলতে চাইছে নির্বোধ মানুষদের। এই অস্থির আর্তনাদকে আমরা গান ভেবে ভুল করি, তাই কোনদিনো শোনা হয়না অব্যক্ত অভিযোগটুকু।
আমার সব থেকে পছন্দের পাখি হচ্ছে কাক। মানুষের যাবতীয় উচ্ছিষ্ট মহানন্দে ভক্ষণ করে অত:পর গম্ভীর কন্ঠে অভিবাদন জানায় সে মানুষকে। তার দীঘির জলের মত স্বচ্ছ চোখ আর কলংকের মত কালো পালক কোন অতিপ্রাকৃত স্বত্তার কথা মনে করিয়ে দেয়। দুই কাধের দুই ফেরেশতার মত সেও মানুষের নিত্য সহচর।
অথচ নির্বোধ মানুষ প্রশংসা করে ক্ষণিকের সুরেলা আর্তনাদকারী কোকিলের,আর ঘৃণা করে জ্ঞানী কাক কে। অসভ্য মানুষের এই শহরে নেই কোন ভালোবাসা সভ্য কাকেদের জন্য।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন